সুনামগঞ্জ , রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ ভক্তি আর সম্প্রীতিতে মুখরিত রথযাত্রা চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত : একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক মাছ বাজারে প্রতারণার ফাঁদে ক্রেতারা বালুপাথর মহালের ইজারা বন্ধ নয়, ইজারা প্রথার বাতিল চাই ১১ মাসে অর্ধ শত কোটি টাকার বালু লুট

ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’

  • আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৯:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৯:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, হবে জুলাই স্মরণে ‘গণমিনার’
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন। এবার সেই ভাস্কর্যকে ঘিরে থাকা ম্যুরাল সংবলিত সাতটি দেয়ালও ভেঙে ফেলেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ নামে এই ম্যুরালের জায়গাটিকে উন্মুক্ত স্থান করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। তবে এরই মধ্যে সেখানে ‘গণমিনার’ নির্মাণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল থেকেই ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেউ কেউ একে ‘ইতিহাস মুছে ফেলার প্রয়াস’ বলেও মন্তব্য করেন। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরা সাতটি দেয়াল নিয়ে গঠিত ছিল। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর থেকে ওই স্থানটি একরকম পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন বাকি অংশও পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হলো। এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের স¤পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এর একটি দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি। নির্মাণ কমিটির আরেক সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খোরশেদ আলম। শুক্রবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় পুরো বিজয় সরণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কয়েক ধাপে স¤পন্ন হবে। এদিকে, ২৫ জুন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সপ্তম করপোরেশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’-এ জুলাই শহীদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ এবং একটি উন্মুক্ত স্থান তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বলেন, সপ্তম করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি কনসেপ্ট তৈরি করা হয়েছে, তার ওপর কাজ চলছে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়া কতটা যৌক্তিক। অনেকেই ফেসবুকে লিখছেন, ‘একটি ইতিহাস মুছে নতুন ইতিহাস চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ‘ভবিষ্যতের শহীদদের জন্য মিনার গড়া ভালো, তবে তা যেন অতীতের শহীদদের মুছে না দেয়।’ -বাংলা ট্রিবিউন

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স